এদিন সভায় উপস্থিত ছিলেন কৌশিক সেন, রাজ চক্রবর্তী, ঋদ্ধি সেন, দেবলীনা দত্ত, কাঞ্চন মল্লিক, পরমা, হরনাথ চক্রবর্তী, নুসরত জাহান, সায়নী ঘোষ সহ আরও অনেকে।
#কলকাতা: অনলাইনে মহিলাদের কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ ও হুমকির প্রতিবাদে আজ মেট্রো চ্যানেলে একজোট হন টলি পাড়ার অভিনেতারা। সম্প্রতি সায়নী ঘোষ, দেবলীনা দত্ত ও অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়কে ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। সেই ঘটনার প্রতিবাদেও তীব্র নিন্দা জানান শিল্পীরা। এদিন সভায় উপস্থিত ছিলেন কৌশিক সেন, রাজ চক্রবর্তী, ঋদ্ধি সেন, দেবলীনা দত্ত, কাঞ্চন মল্লিক, পরমা, হরনাথ চক্রবর্তী, নুসরত জাহান, সায়নী ঘোষ সহ আরও অনেকে।
এদিন কৌশিক সেন বলেন, আমি তৃণমূল, সিপিএম নাকি বিজেপি প্রশ্ন সেটা নয়। কিন্তু যেভাবে সায়নী, দেবলীনা বা আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সহ মহিলাদের আক্রমণ করা হচ্ছে এটি ফ্যাসিস্ট শক্তির অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদও এদিন ক্ষোভ উগড়ে দেন। তিনি বলেন, আমাদের ভয় করছে। এ কোন কোন ভারতবর্ষে বাস করছি। ধর্ষণ, হুমকি, ট্রোলিং চলতেই থাকছে। আমিও পেয়েছি এই ধরনের হুমকি। বাংলায় ধর্ষণ করে দেখাক। ঝেঁটিয়ে বিদায় করে দেব।
সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের টক শোয়ে গোমাংস নিয়ে মন্তব্য করেন গায়ক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গ টেনেই অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত গোমাংস রান্না করার কথা বলেন। তিনি বলেন, তিনি নিজে নিরামিষাশী হলেও প্রয়োজনে নবমীর দিন অনিন্দ্যর বাড়ি গিয়ে বিফ রান্না করে দিতে পারেন। কারণ রান্না তিনি ভালই করেন। আর খাওয়া নিয়ে তাঁর কোনও ছুতমার্গ নেই। এই মন্তব্যের পরেই আক্রমণের মুখে পড়েন দেবলীনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক হুমকির মুখে পড়তে হয় তাঁকে।
এই বিষয়ে আজ গর্জে উঠেছেন দেবলীনাও। তিনি বলেন, আমার মা-কেও আক্রমণ করছেন। উনিও ফেসবুকে আছেন। অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এগুলো হলে ভয় পাব না? গোমাংস নিয়ে মন্তব্য করায় গণধর্ষণের হুমকি পেয়েছেন তিনি। তাই এর পরেই প্রশ্ন তুলে দেন, “অপরাধের শাস্তি জেল হতে পারে, ফাঁসি হতে পারে। কিন্তু অপরাধের শাস্তি কি ধর্ষণ হতে পারে?”
এদিন কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে নয়, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে শিল্পীদের এই প্রতিবাদ সভা বলে জানিয়েছিলেন শিল্পীরা। সভার নাম দেওয়া হয়, ‘এ কোন সকাল, রাতের চেয়েও অন্ধকার।’